আজ বিকেলে বারান্দায় বসেছিলাম। হাতে ছিল এক কাপ চা, আর মনে ছিল অনেক ভালো লাগা। আকাশ জুড়ে মেঘ ভেসে যাচ্ছিল, আর সেই মেঘের ফাঁক দিয়ে পড়ন্ত সূর্যের মিষ্টি আলো আসছিল। মনে হচ্ছিল যেন আকাশ থেকে সোনালী আলো নেমে এসেছে পৃথিবীতে। আমার চোখ আটকে গেল দূরের সবুজ মাঠের দিকে।
সবুজ গাছের সারি, আর তাদের মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছিল সাদা রঙের কিছু ঘরবাড়ি। মনে হচ্ছিল যেন প্রকৃতির কোলে শান্তির জায়গা। আর সেই সবুজের পেছনে সোনালী আলোর রেখাগুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। মেঘের ফাঁক দিয়ে যে আলো আসছিল, মনে হচ্ছিল যেন কোনো শিল্পী আকাশটাকে রঙ দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে।
আলো আর ছায়ার এই খেলা মনকে অন্যরকম শান্তি দেয়। চারপাশ শান্ত হয়ে যায়। শহরের চিৎকার যেন দূরে চলে যায়। শুধু পাখির মিষ্টি ডাক আর হালকা বাতাসের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
দূরের গাছগুলো যেন সোনার রঙে ঝলমল করছিল। তাদের পাতার প্রতিটি ভাগ, প্রতিটি ডাল সোনালী আলোয় चमक করছিল। মনে হচ্ছিল যেন প্রকৃতি আজ তার সব সৌন্দর্য দেখানোর জন্য সেজেছে।
এই সুন্দর আলোয় সবকিছু কেমন যেন স্বপ্নের মতো লাগছিল। মনে হচ্ছিল যেন কোনো কল্পনার জগতে চলে এসেছি। যেখানে আকাশ সোনালী, আর মেঘগুলো তুলোর মতো উড়ছে।
কিছু সময় আগে আকাশ মেঘলা ছিল, একটু অন্ধকার লাগছিল। কিন্তু সন্ধ্যার এই সোনালী আলো সেই মেঘকেও সুন্দর করে তুলেছে। মেঘের ধারগুলো সোনার মতো জ্বলছে, আর ভেতরের দিকটা হালকা অন্ধকার। আলো আর অন্ধকারের এই মেশানো দৃশ্য খুব সুন্দর লাগছিল।
এই দৃশ্যটা ক্যামেরায় তোলার খুব ইচ্ছে করছিল। যদিও জানি, ক্যামেরা দিয়ে প্রকৃতির এত সুন্দর রূপ পুরোপুরি ধরা যায় না। তবুও, এই সময়ের ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করলাম।
আসলে, প্রকৃতির এই ছোট ছোট সুন্দর মূহূর্তগুলোই আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে। কাজের ফাঁকে একটু সময় বের করে প্রকৃতির এই রূপ দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। সন্ধ্যার এই মায়াবী আলোয় আমার মন আনন্দে ভরে গেল। মনে হলো, দিনের শেষে প্রকৃতি যেন তার সবচেয়ে সুন্দর রূপ দেখালো। আর সেই সুন্দর দৃশ্য আমি আমার মনে রেখে দিলাম।
